আমাদের কথা

 

ইবলিশ Break The Protocol


আত্মপ্রকাশ- ২০১১ খ্রিস্ট অব্দ (ছাপা)

সম্পাদক এবং প্রকাশক- রাহেবুল

ধরন- কবিতাকেন্দ্রিক নিরীক্ষামূলক প্রিন্টেড পত্রিকা যা কাঠ বাস্তবকেও উপেক্ষা করে না।

মটো- Break The Protocol

টিম ইবলিশ- শুরতে এরসাদ, আলি (জুলফিকার) ও রাহেবুল এই তিন মিলে পথ চলা শুরু ইবলিশের। প্রথম সংখ্যায় নাম ছিল 'তিসা'। অচিরেই দ্বিতীয় সংখ্যায় নাম পালটে হয় 'ইবলিশ'। শুরুতে এবং পরবর্তীতে সহায়তা করে জিয়ারুল, আসরাফুল, সাইফুল, আমজাদ এবং ২০১৯ থেকে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত ফারহানা। এছাড়া নানা সময়ে নানাভাবে সঙ্গ দিয়ে চলা বাকি সদস্যরা: বাহারুলআরমানরেজিনারাব্বিনাতাপুজাসিদডেভিড, ইন্দ্র। যদিও আজও পরিকল্পনা, লেখা জোগাড়, টাকার জোগান, বিক্রিবাট্টা প্রায় সবই সামলানোর মুখ্য দায়ভার মূলত সম্পাদকেরই।  

ওয়েবে আত্মপ্রকাশ- জুলাই ২৯, ২০১৯ খ্রিস্ট অব্দ

ইবলিশ যা চায়- ইবলিশ আগাগোড়া চেয়েছে বিকল্পধারা তথা পরীক্ষানিরীক্ষামূলক লেখালেখিকে উস্কাতে, নতুনদের কাছে তার আশ্রয়দাতা হতে। একই সঙ্গে কঠোর বাস্তবতাকেও আমরা কখনোই উপেক্ষা করিনি। সাব-অল্টার্ন চর্চা, প্রান্তিক বিষয়, অবহেলিত উত্তরবঙ্গ, অবহেলিত বিভিন্ন সামাজিক বর্গ, আমরা ধরতে চেয়েছি তাকেও। কেবলই সাহিত্যের নামে বিলাসিতা বা সাহিত্যকে নিয়ে ন্যাকামোকে আমরা পাত্তা দিতে চাইনি। প্রতিবাদে, ভালোবাসায়, কান্নায়, ব্যথায় থাকতে চেয়েছি জ্যান্ত। প্রসঙ্গত আমন্ত্রিত লেখাপত্রের চেয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে পাঠানো নিত্যনতুন ধরনের লেখাগুলির প্রতিই তার পক্ষপাতিত্ব। দ্বিতীয় সংখ্যাতে কিছু ব্যতিক্রম হলেও পরবর্তীতে তা হয়নি। ইবলিশের সর্ব-অঙ্গেই সেই ছোঁয়াচ থাকেপ্রচ্ছদ থেকে শুরু করে বিষয়বস্তুলেখকসূচি সবেতেই। বলিশ এখনও অব্দি গতানুগতিক কোনো বিশেষ সংখ্যা করেনি, যা কয়েক বছর ধরে লিটিল ম্যাগাজিনের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় ট্রেন্ড। বা সাত মেশালি পাঁচ মেশালি জগাখিচুড়ি লেখা সমাবেশও করেনি কোনো সংখ্যায়। ইবলিশ চেয়েছে সমসাময়িক বা ভবিষ্যৎ এর কথা ভেবে সোশ্যাল মিডিয়া, প্রযুক্তিকে জুড়তে। যা তার সূচিপত্রে, বিষয়বস্তু, ভাবধারায় প্রতিফলিত হয়। তাছাড়া ২০১৯ এর দিকে ইবলিশ নিজেও ওয়েবজগতে স্থায়ী ঘর বাঁধে এইখানে

 ইবলিশ একটা অসেতুবন্ধন করতে চেয়েছে। সাধারণত কবিতা ও কবিতা বিষয়ক পত্রিকা সর্বক্ষণই কবিতা, দর্শন, রোম্যান্টিকতা নিয়ে ব্যস্ত থাকে কিন্তু ইবলিশ কবিতাকেন্দ্রিক পত্রিকা হলেও কেবল কবিতায় সে আটকে থাকেনি, কাঠ বাস্তবটাকে গ্রহণ করে বস্তুনিষ্ঠ প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে তা সে বিজ্ঞানচর্চা নিয়ে হোক, সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে হোক, ধর্ম নিয়ে হোক, বা উত্তরবঙ্গ নিয়েই হোক না কেন। সঙ্গে যেমন ব্লগ ও ফেসবুককে জুড়ে নেওয়া। এসব আপাত উৎকট মনে হলেও তা ইবলিশ দিব্য করে চলেছে।   

শূন্যাঙ্ক’ নামের একটি পত্রিকার তরফে এক সাক্ষাৎকারে ইবলিশের সম্পাদককে জিজ্ঞাস্য ছিল: “আপনি একটি পত্রিকা চালানলিটিল ম্যাগাজিন। এখন বা মোটামুটি যে কোনো সময়েই বেশিরভাগ লিটিল ম্যাগ কিন্তু সূচীপত্রে নাম চায় শ্রীজাত বা স্মরণজিৎ আপনার পত্রিকার মোটো কি তাই?

ধরুন আলাদা হয়তো নয় অসাধারণও হয়তো নয় কেউ চেনে না লিখছে লেখা পাঠিয়েছে তেমন নামকে কি সঙ্গ দেন সঙ্গে রাখেননা এখানেও শ্রীজাত না হোক পরিচিত হওয়াকে তার নামের পরিচিতি প্রাধান্য পায়?”

উত্তরে সম্পাদক যা বলেন তা ইবলিশ পত্রিকাটির স্বভাবচরিত্র বুঝতে সহায়ক হবে:

>‘ইবলিশ’ এর মটো তো ‘ব্রেক দ্য প্রোটোকল’! গতানুগতিকে কী আর তার শান্তি মিলবে?! ইবলিশ বরাবর নতুন-অপরিচিত-অখ্যাতকে আস্কারা দেয় এমনকি তা সে কোন্‌ ঘরানাকোন্‌ বহিরানা তা নিয়ে ইবলিশের ছোঁক ছোঁক নেই। এমনিতে লিটিল ম্যাগাজিন ক’জনই-বা পড়েননিজের কবিতার মতোই নিজেদের পত্রিকার ক্ষেত্রেও আমি নিবেদিতপ্রাণ যাকে বলে! আর বড্ড খুঁতখুঁতেস্বাভিমানীও! যদিও নিজের লেখার প্রতি নিজের যতখানি অধিকার/অভিমান/তাচ্ছিল্য/জেদ তা পত্রিকায় নেই.. শেষমেশ সেটি একটি দলগত-কার্যঅনেকের সমর্থন-সামর্থ্যে তার টিমটিমে টিকে থাকা।


*******

আপনি এক্ষণে পড়ছেন ইবলিশ ৭, ইবলিশের সাত নং সংখ্যা। 

No comments:

Post a Comment

ইবলিশ ৭ - নিরোর নগরকীর্তন ও তাহার নাগরবৃন্দ

  শিল্পী: জস এ. স্মিথ  সম্পাদক কয়  নিরোর নগরকীর্তন ও তাহার নাগরবৃন্দ বাঁশি না বীণা না বেহালা কী বাজাতেন নিরো?—কেউ হয়তো জানে ঠিকটা। বাদ্যযন্ত...